বিশেষ প্রতিনিধি।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের পার্শ্ববর্তী রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মরিচ্যাচর মালাকাটা ঘোনায় বিজিবি-চোরাকারবারীর মধ্যকার গোলাগুলিতে
গুলিবিদ্ধ হয়েছে একজন। বিজবির উপর হামলার পর বিজিবির ৪ মোটরবাইক পুড়ে দিল স্বশস্ত্র চোরাকারবারী দলটি। পরে বিজিবি জব্দ করে ২০ হাজার ইয়াবা টেবলেট ও মিয়ানমার থেকে পাচার করে আনা কোটি টাকার সিগরেট।
ঘটনাটি ঘঠেছে ৩ জুন,সোমবার ভোর সকাল ৬ টার। এ সময় বেশ ৫০ / ৬০ রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল সাহল আহমদ নোবেল। এ সময় তিনি এ প্রতিবেদককে জানান,চোরাকারবারীরা এ পথ দিয়ে ইয়াবা পাচার হচ্ছে খবর পেয়ে অভিযানে নামে। পরে উদ্ধার হয় সিগরেট ও ইয়াবা।এ অভিযানে ছিলেন নেতৃত্ব দেন মেজর আশিক ও মেজর রাফি।
এদিকে ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল সাহল আহমেদ নোবেল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান,সোমবার পৌঁনে ৬ টার দিকে তার পাঠানো টহলদলটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় । এ পর্যায়ে আনুমানিক ১৫০ থেকে ২০০ জন চোরাকারবারী ও দুষ্কৃতিকারীরা নিজাম ডাকাতের নের্তৃত্বে সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করতঃ গুলি (৫০-৬০ রাউন্ড) করতে করতে অগ্রসর হয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে জানমাল রক্ষার্থে আনুমানিক ৬ ঘটিকায় মেজর রাফি-উস-হাসান এর নেতৃত্বে হাবিঃ মোঃ হুমায়ন কবির কর্তৃক এসএমজি দ্বারা পাল্টা ফায়ার করা হয়। তথাপিও দুষ্কৃতকারীরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে ৪টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। উক্ত ঘটনায় ১ জন চোরাকারবারী আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
এ সময় তারা বিদেশী ৯৮ কাটুন সিগরেট ও ২০ হাজার ইয়াবা টেবলেট জব্দ করেন।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার আবুল কাশেম জানান,এ ঘটনাটি তার ওয়ার্ডেই ঘটেছে। তবে ভোর ৬ টার পর। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন। চোরাকারবারীরা মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বিদেশী সিগরেট পাচারকালে অভিযান শুরু করলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় জব্দ হয় ৮০ লক্ষাধিক টাকার সিগরেট।
চোরাকারবারীদের ভাড়াটে শ্রমিকদের দেয়া আগুনে বিজিবির ৪ মোটর বাইক আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,মূলত আহত নেজাম ডাকাত একজন শ্রমিক। আর যারা বহন করছিল তারা সবাই শ্রমিক। তবে তাদের ৩ জন গড়ফাদার রয়েছে।
যাদের নাম নিতে তারা ভয় পাচ্ছে। যদিও সেই ৩ সীমান্ত চোরাকারবারী গড়ফাদার নাম সাংবাদিকদের বলেছেন পত্রিকায় তাদের রেফারেন্সে না দিতে।
বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা ও গর্জনিয়া এলাকায় সন্ত্রাসী আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বিজিবি জানান পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
পাঠকের মতামত